কুরবানি কার উপর ফরজ

কুরবানি কার উপর ফরজ বা কুরাবানি কাদের উপর ফরজ এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
কুরবানি কার উপর ফরজ

আস-সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনি ভালো আছেন! আজকে আমরা আলোচনা করবো, কুরবানি কার উপর ফরজ এই বিষয় নিয়ে।

কুরবানি কার উপর ফরজ

কুরবানি ফরজ না। অনেক আলেম মনে করে থাকেন যে কুরবানী হচ্ছে  সুন্নতে মুয়াক্কাদা । আবার অনেকেই মনে করে যে কুরবানি ওয়াজিব।

একদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, এটি সুন্নত, সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি অধিকাংশ আলেমের বক্তব্য। আরেকদল ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, কোরবানি ওয়াজিব। তিন থেকে চারজন ওলামায়ে কেরাম ছাড়া আর কেউ কোরবানিকে ওয়াজিব বলেননি।


শরিয়তে যাঁদের ওপর কোরবানি বাধ্যতামূলক হয় তাঁরা হলেন মুসলিম হওয়া, বিবেকসম্পন্ন হওয়া, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, এগুলো ঠিক থাকবে।

এর সঙ্গে আর একটি শর্ত যোগ হবে সেটি হলো, যে ব্যক্তি ওই দিন কোরবানির পশু জবাই করার সামর্থ্য রাখে, সেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি বলেছেন অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম।

কিন্তু যাঁরা ওয়াজিব বলেছেন, তাঁরা দুটি কঠিন শর্ত দিয়েছেন। একটি হচ্ছে, ওই ব্যক্তির নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকতে হবে, যেই নেসাব পরিমাণ সম্পদের ওপর জাকাত ফরজ হয়। অন্যটি হচ্ছে তাঁকে মুসাফির হওয়া যাবে না। এ দুটি শর্ত করে বলা হয়েছে কোরবানি ওয়াজিব।

এ দুটির একটি শর্তও যদি কোনো ব্যক্তি পূরণ করতে না পারে, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।

কিন্তু বিশুদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে, রাসুল (সা.) যে হাদিস দিয়ে ওয়াজিবের দলিল দিয়েছেন সেটি। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে, সে যেন কোরবানি করে।’ সামর্থ্যকে রাসুল (সা.) সাধারণ রেখে দিয়েছেন।

অন্য রেওয়াতের মধ্যে এসেছে, ‘সামর্থ্য থাকার পরও যদি সে কোরবানি না করে, তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ এই হাদিস দিয়েই ওয়াজিবের দলিল দেওয়া হয়েছে। নবীজি (সা.) নেসাব পরিমাণ সম্পদের কথা মোটেও বলেননি, এটি না থাকলেও চলবে।
ব্যাংকে কোরবানি দেওয়ার মতো অর্থ যদি আপনার থাকে, তাহলে আপনি কোরবানি দিতে পারবেন।  

তথ্য সুত্রঃ NTVBD

আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন, এখানে প্রকাশিত কোনো লেখায় যদি ভুল পরিলক্ষিত হয় তবে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন, আমরা অবশ্যই তা ঠিক করবো।ইনশাআল্লাহ!