ইসলামে ব্যবসা করার নিয়ম
ইসলামে ব্যবসা করার নিয়ম ও ইসলামে কিভাবে হালাল উপার্জন করা যায় তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হয়েছে।
আস-সালামু আলাইকুম! আশা করি আল্লাহ এর অশেষ রহমতে আপনি ভালো আছেন! আজকে আমরা আলোচনা করবো, ইসলামে ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে। ইসলামে কিভাবে ব্যবসা করা যেতে পারে এবং কিভাবে ব্যবসা করলে আখিরাতে বিপদগ্রস্থ হবো না।
ইসলাম এ জীবন ধারন করার প্রতিটি বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রতিটি বিষয়ে কোনটা ভালো কোনটা খারাপ তা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।
হালাল উপার্জন করা
আপনি যদি হারাম ব্যবসা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার উপার্জন হবে হারাম। হারাম উপার্জন এর গড়া দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবেনা।
তাই আমাদের অবশ্যই হালাল উপার্জন করা উচিৎ। হালাল উপার্জনে আমাদের দেহ গঠন করা উচিৎ।
চাইলেই আমরা খুব সহজে হালাল উপার্জন করতে পারি।
হালাল ব্যবসা এর দিক নির্দেশনা
আল্লাহ তাআলা ব্যবসাকে হালাল এবং সুদকে হারাম করেছেন। সুদ; আমাদের সমাজের ক্ষতি করে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ধংশ করে দিতে পারে এই সুদ।
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, হে ঈমানদারগন তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করোনা। কেবল মাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ।
আল্লাহ তাআলা অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করতে নিশেধ করেছেন। অর্থাৎ অন্যের যতটুকু পাওয়া উচিৎ তার থেকে আপনি যদি গ্রাস করেন তবেই আপনি আল্লাহ এর নির্দেশনা অমান্য করলেন
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য
হালাল হিসেবে অনুমোদিত হয় এমন পাঁচটি পদ্ধতিতে আলোচনা করা হলো।
(১) লাভ ও লোকসানের ভিত্তিতে নগদ মূল্যে ক্রয় বিক্রয়ের একক ব্যবসা। এই ধরনের ব্যবসাকে বায়উ মুরাবাহ বলে।
(২) নির্ধারিত কোনো সময়ে এক সাথে অথবা কিস্তিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে মূল্য পরিশোধের শর্তে ক্রয় বিক্রয় করলে। এইটাকে বায়উ মুয়াজ্জাল বলে।
(৩) ভবিষ্যতে নির্ধারিত কোন সময়ে সরবরাহের শর্তে এবং তাৎক্ষণিক উপযুক্ত মূল্য পরিশোধ সাপেক্ষে নির্দিষ্ট পরিমাণ শরী‘আত অনুমোদিত পণ্য সামগ্রীর অগ্রিম ক্রয়-বিক্রয়। এইটা কে বায়উস সালাম বলে।
(৪) এক পক্ষের মূলধন এবং অপরপক্ষের দৈহিক ও বুদ্ধিভিত্তিক শ্রমের সমন্বয়ে যৌথ ব্যবসা। এ পদ্ধতিতে লভ্যাংশ তাদের মাঝে চুক্তিহারে বণ্টিত হবে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খাদীজা (রাঃ)-এর মূলধন দ্বারা এরূপ যৌথ ব্যবসা করেছিলেন। ছাহাবায়ে কেরাম অনেকেই এ পদ্ধতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন।
এইটা কে বায়উ মুযারাবা বলে।
(৫) মূলধন ও লভ্যাংশের ব্যাপারে দুই বা ততোধিক অংশীদারের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে ব্যবসা।
মুশারাকা পদ্ধতিতে ব্যবসায় লাভ হ’লে অংশীদারগণ পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে তা ভাগ করে নেয়। আর লোকসান হ’লে অংশীদারগণ নিজ নিজ পুঁজির আনুপাতিক হারে তা বহন করে।
এইটাকে বায়উ মুশারাকা বলে।
আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন, এখানে প্রকাশিত কোনো লেখায় যদি ভুল পরিলক্ষিত হয় তবে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিন, আমরা অবশ্যই তা ঠিক করবো।ইনশাআল্লাহ!